রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বাজার চড়া রোজা আসার আগেই

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

কয়েকদিন পরেই পবিত্র রমজান মাস শুরু। তবে রোজা আসার আগেই তার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। একদিকে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল হয়ে উঠছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইফতারির জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন চড়া। নতুন করে বেড়েছে বেসন তৈরির অন্যতম উপকরণ অ্যাংকার ডালের দাম। আরও বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিনের দাম, খোলা ময়দা, আলু, রসুন, আদা ও গুড়ো দুধের দাম। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। মোটা চালের দামও আবার বেড়েছে।

কাওরান বাজারে বাজার করতে আসা আনিসুর রহমান বলেন, ‘সামনে রোজা, এমন সময় করোনা বাড়ছে। চাকরি হারানোর আতঙ্কও বাড়ছে। অথচ এই সময়েও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এটা অসহনীয়।’

নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সঙ্গে। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ভালো। তবে মানুষের কষ্ট হয়, তবুও এই মানুষ রোজার মাসে ভালো ও দাম দিয়ে কিনে খায়। করোনা বেড়ে যাচ্ছে, এতে অনেক মানুষের আয় কমে যাবে ধারণা দিয়ে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই জরুরি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

চিকন বা সরু চালের দাম কমেছে। আর বেড়েছে মোটা চালের দাম। চিকন চালের কেজিতে এক টাকা কমলেও মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। প্রতি কেজি চিকন চালের দাম ৬৫-৬৪ টাকায় নেমেছে। আর প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬-৪৮ টাকা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি’র তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২.২০ শতাংশ। টিসিবির হিসাবে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ৪.২৯ শতাংশ। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ময়দার দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এই ময়দার প্রতি কেজির দাম ছিল ৩৪-৩৬ টাকা।

বাজারে আলুর দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। ১৬ টাকা কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেসন তৈরির অ্যাংকার ডালের দাম। ৩৮ টাকা কেজি অ্যাংকার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। সরকারি হিসাবে, এই ডালের দাম বেড়েছে ৮.৪৩ শতাংশ। তবে টিসিবির হিসাবে সবচেয়ে বেড়েছে দেশি আদার দাম। ১০০ টাকা কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি আদার কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। বাজারে ৫ লিটার ওজনের সয়াবিনের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন বিক্রি হয় ৬৪০ টাকা।

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগি। গরু ও খাসির মাংস দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। আর কক মুরগির কেজি ২৪০-২৬০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ৯০-৯৫ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। মাঝারি আকারের একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। পটল, বেগুন, শিম, ধুন্দল, বরবটি, ঢেঁড়স, লাউ, সজনে ডাটা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৫০ টাকার ওপরে।

বাজারে সজনে ডাটা এক কেজি কিনতে ক্রেতাদের একশ টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে সজনে ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পটল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়স। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। দাম বেড়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমেরও। ২০-৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে ৩০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতি কেজি ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতেও ভোক্তাদের ৫০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। শশা আগের সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গাঁজরের কেজিও আগের সপ্তাহের মতো ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। সুত্র: বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/ জেইউ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION